
প্রকাশিত: Sat, Feb 11, 2023 6:25 AM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 7:44 AM
আদর্শ প্রকাশনীকে শর্তসাপেক্ষে স্টল বরাদ্দ এবং কয়েকটি প্রশ্ন
কাজী এম মোর্শেদ : আদর্শ প্রকাশনীকে শর্তসাপেক্ষে স্টল বরাদ্দের রায় দিয়েছে। ২৮ দিনের মেলা, ৮ দিন পর রায় আসলো। এখন রায় লেখা, সেটার নকল সংগ্রহ করা, জমা দেওয়া, জায়গা নেওয়া, স্টল বানানো, বই নেওয়া, সেচ্ছাসেবক নিয়োগ, বিক্রয় শুরু, আরও কয়েকদিনের ব্যাপার। রায়ে বলেছে, তিনটা বই রাখা যাবে না। যদিও বাংলা একাডেমির অবজার্ভেশন ছিলো একটা বই নিয়ে। তারপরও প্রকাশক যেই আইনি প্রক্রিয়ায় গিয়ে বাংলা একাডেমির ভুল যুক্তি দিয়ে খণ্ডাতে পেরেছে, সেটার জন্য ধন্যবাদ। সেটা প্রকাশনীকেও, আইনজীবীকেও এবং অবশ্যই মহামান্য আদালতকেও।
এখন আবার চেম্বার আদালতে রায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা বা আপিল করে রায় স্থগিত করে নিজেদের হাসির পাত্র না বানালেই হয়। গার্ডিয়ান সেই রাস্তায় যায়নি, তাদের তথাকথিত ‘মানসম্মত নয়’ কথাটা মেনে নিয়েছে। তাঁদেরও যাওয়া উচিত ছিলো এবং একইভাবে বাংলা একাডেমির সভাপতি, মহাসচিব, সচিব উনাদের চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেবার নির্দেশ নেয়াটা দরকার। আইনত যেই তিনটা বা একটা বই নিয়ে কথা, তা নিষিদ্ধ না। নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। সরকার বা মন্ত্রণালয় কোনো হাত দেয় নাই। বইমেলা মন্ত্রণালয় হিসাবে যদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন হয়, তাঁরাও হাত দেয়নি। হাত দিয়েছে স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। এই ব্যাপারটাই বেশ ইন্টারেস্টিং। আপনি বলতে পারবেন না সরকার বা মন্ত্রণালয় কালোতালিকাভুক্ত করেছে, অর্থাৎ সরকার চায় বাকস্বাধীনতা অক্ষুণ্ন থাকুক। কিন্তু বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যভাবে বলি, গদ্যকার সেলিনা হোসেন এবং কবি নুরুল হুদা সাহেব পুরো দায় নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন যেনো সরকারি হস্তক্ষেপ কথাটা না ওঠে। পুরো ব্যাপার দেখলে আমিও মানবো এবং মানতে বাধ্য, সরকার বা তার কোন মন্ত্রনালয় জনগনের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে নাই। কিন্তু এই যে সভাপতি এবং মহাসচিব তারা বছরের পর বছর কষ্ট করে লিখে নিজেদের যে নাম, প্রতিভা, সাক্ষর, সত্ত্বা এবং রেপুটেশন জনগনের মাঝে তুলে ধরেছিলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের সত্ত্বা সারাজীবনের জন্য হারালেন।
গদ্যকার সেলিনা হোসেনের উপন্যাস আসবে, মানুষ বই হাতে নেবে, এরপর এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলবে, ওহ সেই সেলিনা হোসেন? তেমনি কবি নুরুল হুদার বই নিয়েও একই কথা বলবে। নিজেই যদি কেউ নিজের সম্মান ধরে রাখতে না পারে, তার দায় অন্যদের দেবার মানে নাই। সম্মান তিলে তিলে জড় করতে হয়, বছরের পর বছর ধরে, নষ্ট হতে সময় লাগে না। উনারা এই ভুলটাই করলেন। এরপর কোথাও কোনো অনুষ্ঠানে গদ্যকার সেলিনা হোসেন প্রধান অতিথি হলে আমন্ত্রিত অতিথিরা একটু ইতস্তত করবে, আচ্ছা সেই সেলিনা হোসেন। উনি সম্ভবত হাঙ্গর নদী গ্রেনেড লিখে বিপুল প্রচার পেয়েছিলেন, এখন তার নামের আগে অন্য আরেকজনের নাম আসবে, বিহারী ফাহামের। বিহারীটা আরেক ঝানু আইনবিশেষজ্ঞের আবিস্কার, যদিও বিহারী কোন গালি না। বিহারের অধিবাসীরা বিহারী, সেখানেই প্রাচীনতম নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। আমার বলা শেষ। শেষ কথা আগেই বলেছি, সম্মান ধরে না রাখার ব্যর্থতা কার উনারা বিজ্ঞ মানুষ, হয়তো জানবেন। যা করেন নিজ চিন্তায় সুস্থভাবে করেন, কেউ যেনো আপনাকে ব্যবহার করতে না পারে। কারো দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে সম্মান হারাবেন কেন, এতো বছর সম্মান অর্জনের পরে? ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
